একজন মায়ের একটু স্বস্তি এবং একটি শিশুর সার্বিক বিকাশ হোক আমাদের কাম্য। একজন মায়ের ফিডব্যাক, শেখানোর দায়িত্ব আমার কিন্তু শিশুর সাথে এক্টিভিটিস করার দায়িত্ব আপনার।
n“আমার মেয়ের বয়স যখন ২৬ মাস, তখন প্রথমবারের মতো বুঝতে পারলাম যে আমাদের মেয়েটা আর আগের মতো নেই- ওর মধ্যে কোন হাসিখুশিভাব নেই, একা থাকতে পছন্দ করে, প্রবলভাবে ডিভাইস এডিক্টেড এবং ভাষা বিকাশ তো হচ্ছেই না বরং আগে যেসব কথা বলতো সেগুলোও আস্তে আস্তে কমিয়ে দিচ্ছে এরকম আরো নানান সমস্যা। nঐ সময় আমি স্পিচ ডিলে নিয়ে ফেসবুক ও ইউটিউবে বিভিন্ন লেখা ও ভিডিও দেখা শুরু করলাম। এইসব ভিডিও ও লেখা পড়ে আমি এতো প্যানিকড হয়ে গেছিলাম যে আমার নাওয়া, খাওয়া বন্ধ হয়ে গেছিলো, আমি দৈনন্দিন কোন স্বাভাবিক কাজ করতে পারছিলাম না। এই করোনাকালীন সময়ে মেয়েকে নিয়ে আমি কোথায় যাবো, কাকে দেখাবো… ভেবে কোন কূলকিনারা পাচ্ছিলাম না। এরমধ্যেই সৌভাগ্যক্রমে ইউটিউবে তৃপ্তি ম্যামের একটা ভিডিও আমার চোখের পড়ে। ভিডিওটা দেখে মনে হলো এতোদিন যে লেখা ও ভিডিও আমি দেখেছি এর থেকে আলাদা কিছু শুনলাম। আমি একে একে ম্যামের সব ভিডিও দেখতে লাগলাম এবং ভিডিও থেকে শিখে অনেক এক্টিভিটিস মেয়ের সাথে করতে লাগলাম। এক মাসের মধ্যে মেয়ের মধ্যে অনেক পজিটিভ চেঞ্জ দেখতে লাগলাম- কিছুটা আশার আলো দেখতে পেলাম। ফেসবুক ঘাটতে ঘাটতে ম্যামের আইডি খুঁজে পেলাম এবং ম্যামকে ইনবক্সে নক করলাম। পরম করুনাময়ের দয়ায় মেয়েকে নিয়ে আমার দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়নি- ম্যাম আমার মেয়ের এসেসমেন্ট করলেন। ম্যামের কাছে এখন পর্যন্ত চারটা সেশন করেছি এবং প্রত্যেকটা সেশন থেকেই আমি প্রচুর শিখেছি এবং তিন মাসের মধ্যেই আমার মেয়ের মধ্যেই আমার মেয়ের মধ্যে ব্যাপক চেঞ্জ দেখতে পাচ্ছি। যখনই কোন সমস্যায় পড়েছি, মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি ম্যাম পাশে থেকে সাহস জুগিয়েছে, পরামর্শ দিয়েছে। এখনো প্রতিদিনই মেয়েকে নিয়ে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ এর সম্মুখীন হচ্ছি কিন্তু এখন আর আগের মতো প্যানিকড হই না কারণ তৃপ্তি ম্যাম পাশে আছে। সেশন ছাড়াও আমি ম্যামের প্রত্যেকটা লেখা, ইউটিউব ভিডিও ও লাইভ দেখেও অনেক উপকৃত হয়েছি। ম্যামের কাছে আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশের আসলে কোন ভাষা নেই! শুধু উনার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা ও দোয়া।”nValo thakben nTripti Podder
nnnnnn