Children's Journey

  • বই পড়া এবং শিশুর বিকাশে আপনার ভূমিকা:

    • 11,Oct 2021
    • Posted By : Children's Journey
    • 0 Comments

    “শিশুকে একাডেমিক ভাবে ভালো করাতে হলে”, আপনাকে এই চিন্তাটি শিশু মাতৃগর্ভে থাকাকালীন সময় থেকেই করতে হবে। শিশুকে সুস্থ্য, মেধাবী এবং উপযুক্ত তৌরি করতে হলে গর্ভাবস্থায় থেকে মায়ের যত্নের উপর প্রাধান্য দিতে হবে। আজকের লেখাটির প্রধান লক্ষ্য হলো বই পড়ার প্রয়োজনীয়তা সম্পৰ্কে আলোকপাত করা, কখন থেকে কোন বয়স থেকে শিশুর সাথে বই পড়বেন সেই সম্পর্কে একটু আলোচনা করা। আমি গত বছর বই পড়া নিয়ে একটি ভিডিও করেছি, লিংকটি প্রদত্ত দেখে নেবেন। nhttps://youtu.be/tjlXe8M0U0o nএছাড়া ও আমার লাইভ প্রোগ্রাম গুলোতে আমি বই পড়া সম্পর্কে সর্বদা আলোচনা করে থাকে, প্রয়োজনবোধে দেখতে পারেন।

    n

    শিশু মাতৃগর্ভাবস্থায় ১৮ সপ্তাহ থেকে আওয়াজ শুনতে পারে এবং মাতৃগর্ভাবস্থায় ২৫/২৬ সপ্তাহ থেকে মায়ের আওয়াজ এবং শব্দের সাথে রেস্পন্ড করা শুরু করে। গর্ভাবস্তায় মা যা করেন, যে পরিবেশে থাকেন তার সব কিছুর প্রভাবই শিশুর বিকাশে ভুমিকা রাখে, এই বিষয় গুলো নিয়ে গত একটি বছর ধরে আপনাদের আমি বোঝানোর চেষ্টা করছি। আজকাল স্পিচ এবং ল্যাংগুয়েজ ডিলের শিশুদের পরিমান বেড়ে চলেছে, মা বাবা যদি তাদের প্যারেন্টিং একটু সচেতন ভাবে করেন তাহলে শিশুদেরকে এই ধরনের প্রতিবন্ধকতা থেকে আপনারা রক্ষা করতে পারবেন।

    n

    করণীয়:

    n

    –গর্ভকালিন সময় মায়েরা যে যে ধর্ম পালন করছেন সেই ধর্ম গ্রন্থ পড়ুন বা পড়ে শুনান আপনার আগত শিশুকে। আপনার ফেটাল (শিশু) ২৫/২৬ সপ্তাহে ভাব প্রকাশ করতে শুরু করে থাকে আপনি একটু খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন। পাশাপাশি নানারকম সুরের গান শুনতে পারেন এবং গাইতেও পারেন I

    n

    — বাবারা মায়ের পাশে বসে তার আগত শিশুকে বই পড়েমজার মজার গল্প পড়ে শুনাতে পারেন । এতে আপনার সংগে বাচ্চার সম্পর্ক তৈরি হবে। সে আপনার গলার স্বর চিনতে শুরু করবে এবং ভুমিষ্ট হবার সঙ্গে সঙ্গে আপনার গলার আওয়াজ শুনে সে আপনাকে কানেক্ট করতে পারবে।

    n

    –জন্ম পরবর্তী সময়ে শিশুদের শুরু থেকেই রোজ একই সময়ে (bed time story) মজার মজার ছবি সহ বই গুলো পড়ুন, যেখানে বাক্য কম ছবি থাকবে, ছবি ও থাকবে অল্প পরিমানে যাতে শিশুর বুঝতে সুবিধা হয়, ছবিতে সাদা কালো প্রাধান্য দিতে হবে কারণ শিশু ভুমিষ্ট হবার পর ৯ মাস থেকেই সাদা কালো রঙ এর পাশাপাশি অন্যান্য রঙ চিনতে পারে।

    n

    –পড়ার মুখভংয়ী যেন বই এর সাথে একই রকম হয় যাতে করে সে বুঝতে পারে হাসি আর কান্নার মধ্যে কি পার্থক্য, শিশু ২/৩ মাস বয়সেই নানাবিধ আওয়াজ করে যেমন: দা দা , বা, বা, কু, কা ইত্যাদি।

    n

    –একটি বই ২/৩ দিনের বেশি পড়বেন না, ২/৩ দিন পর বই পরিবর্তন করুন, একই বই রোজ রোজ পড়লে একঘেয়েমি চলে আসবে। বেশ কিছু বই সংগ্রহে রাখুন। বই পড়ার আগে শিশুকে নির্বাচন করতে দিন, কোন বই এর গল্প সে শুনতে চায়।

    n

    –ছোট শিশুদের জন্য ভুত পেত্নী বা রাক্ষুসী বুড়ির গল্প শোনাবেন না। প্রতিদিনকার জীবনের কাজকর্ম, ফুল, পাখি, জীব জন্তু এসবের গল্প গুলো শিশুদের মনযোগ ও আর্কষন করে থাকে। তাই এধরনের বই সংগ্রহে রাখতে পারেন। ভুত কিংবা রাক্ষস খোক্কসের গল্প পড়ে শুনিয়ে তার ভিতর পৃথিবী সম্পর্কে নেগেটিভ ধারনা দিবেন না যাতে করে তার মধ্যে খারাপ হরমোন প্রডিউস হয় এবং সে উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে।

    n

    –যে বইটি পড়বেন তার চরিত্র গুলো অভিনয় করে শুনান। বই বর্নিত চারিদিকের পরিবেশটা এমন ভাবে বলুন যেন আপনার শিশু আপনার চোখে ঠিক ওই বিষয় দেখতে পায়।

    n

    –আজকাল বাজারে দারুন সব ফ্লাশ কার্ড পাওয়া যায়। এই ফ্লাশ কার্ড দিয়ে শিশুকে তার প্রতিদিনের ব্যবহারের বিষয়বস্তু সম্পর্কে খেলার মাধ্যমে শেখাতে পারেন, সহজে শিখে ফেলে খেলতে খেলতে।

    n

    –বই পড়া নিয়ে আকর্ষন করতে বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করুন, যেমন: এসো বই পড়া কম্পিটিশন করি । শিশুর পছন্দের শিখন পদ্ধতি বের করুন যা তাকে বই এর প্রতি আকর্ষিত হয়। জোর করে কখনও নয়, আকর্ষিত করে তুলুন।

    n

    –বাসায় ছোট্ট করে বাচ্চার জন্য রিডিং কর্নার তৈরি করুন। যেখানে থাকবে ভালো মানের সব ছবিওয়ালা বয়স উপোযগী গল্পের বই।

    n

    — রাতে ঘুমানোর আগে নিয়ম করে স্টোরি টাইম করুন। প্রতিদিন মা অথবা বাবা এসময় শিশুকে পড়ে শুনান মজার আনন্দের সব গল্প।

    n

    –শিশুকে উপহার হিসেবে বই দিন, খেলনার সাথে একটি করে বই কিনে দিন।

    n

    –বাড়িতে পত্রিকা, অনলাইন পত্রিকা বা ছোটদের ওয়ার্ড গেম এর মত খেলনা রাখুন যাতে করে পড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়তে সুবিধা হয়।

    n

    বই কল্পনা শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে, বই পড়ার সময় বই এর চরিত্র গুলো পরিবেশের সাথে ভিজুয়াল হয় যা কিনা চোখের সামনে উপস্থাপন করে যা শিশুর বিকাশে সাহায্য করে। বই পড়ার সময় শিশুর একাকিত্ব দূর হয় এবং শিশুর মানসিক বিকাশে সাহায্য করে। শিশু যত বেশি বই পড়বে সে তত বেশি বহির বিশ্ব সম্পর্কে জানবে।

    n

    তৃপ্তি পোদ্দার nশিশু শিক্ষা বিশেষজ্ঞ nইংল্যান্ড n

    n

    বি: দ্রঃ আমি প্রতিটি লেখা অনলাইন এ লিখে থাকি তাই অনেক বানান আমার জানা থাকলেও আমি সঠিকটি মাঝে মাঝে খুঁজে পাই না সুতারং বানান ভুল হলে মনে রাখবেন আমার সংশোধন করার অপশন ছিল না।nThank you.

    nn

Leave A Comment