শিশুর ভাষার বিকাশ মাতৃগর্ভে শুরু হয়, মাতৃগর্ভ থেকে মায়ের এবং অন্যান্য প্রতিটি আওয়াজ শুনে থাকে তা কখনও শো শো কখনও ঘো ঘো ইত্যাদি নানাবিধ আওয়াজ শুনে থাকে কিন্তু মুখের ভাষা বাংলা বা ইংরেজি বা অন্য কোন ভাষা হবে কিনা সেটি নির্ধারণ হয় শিশু যে পরিবেশে থাকে তার পরিবেশের উপরে, সে যেখানে জন্ম গ্রহণ করে এবং বেড়ে ওঠে । তাই শিশু যদি জন্মের পরবর্তী সময়ে জঙ্গলে বড়ো হয় তাহলে সে বাঘ, সিংহ এবং অন্যান্য পশুপাখির মতো করে ভাববিনিময় করবে।
nnভাববিনিময়ের মাধ্যম হতে পারে পশুপাখির ডাক, ইশারা ভাষা, ভিজ্যুয়াল কার্ড, লিখিত রূপ, মৌখিক ইত্যাদি।
nশিশুর ভাষা শেখার জন্য অনুকরণ দরকার কিন্তু শিশুর যদি সেন্সরি প্রসেসিং এ প্রতিবন্ধকতা থাকে তাহলে সে কথা শেখার জন্য যে স্টিমুলেশন দরকার তা পরিবেশ থেকে নিতে পারবে না আর স্বাভাবিক কারণে সে কথা সঠিক সময়ে বলতে পারবে না কারণ সে ব্যস্ত আছে তার সিকিং নিয়ে, আপনি ভাষা শেখাচ্ছেন কিন্তু সে শিখছে না কারণ কোনকিছুতে সে কমফোর্ট নয়। শিশুর দরকার সঠিক সেন্সরি ইনপুট।
nnখুব তাড়াতাড়ি যদি এই প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করতে পারেন তাহলে শিশুকে জেদী, বদমেজাজী, সবার থেকে আলাদা এই সব কথা ও শুনতে হবে না কারন আপনি তাকে সঠিক সেন্সরি ইনপুট এবং সেন্সরি ডায়েট দিলে, সে কথা বলবে তবে মনে রাখতে হবে প্রতিটি শিশুর অবস্থা একটি শিশু থেকে আলাদা। আবার তাড়াতাড়ি কথা বলার কারনে সে একাডেমিকভাবে পড়াশুনায় ও ভালো করবে। শিশু সঠিক বয়সে কথা বলা অর্থ শিশুর বিকাশ ভালো হচ্ছে সে পিছিয়ে নেই কিন্তু সে যদি সঠিক সময়ে কথা না বলে এর অর্থ শিশুর বিকাশ পিছিয়ে যাচ্ছে, শিশুর অতিরিক্ত পরিচর্যা দরকার, একটিভিটিস দরকার। ।
nnশিশুর সাথে সময় কাটান, ঝামেলা বা কেন করছেন সেটা চিন্তা না করে চিন্তা করেন এই কাজটি তাকে বড়ো পেশাজীবী হতে সাহায্য করবে, শিশুকে বুঝতে পারলে শিশুকে শেখানো অনেক সহজ হয়ে যায়। nভালো থাকবেন।
nn